ক্ষুদিরাম বসুর জীবনী, জন্ম, শিক্ষাজীবন, পরিকল্পনা, স্বদেশী আন্দোলন, ফাঁসি (Khudiram Bose Biography in Bengali, Birthday, Kill Kingsford)
Khudiram Bose Biography in Bengali: সুরেন্দ্রনাথ পরলােক গমন করলেন , কিন্তু তার প্রেরণা রয়ে গেল বাংলার তরুণদের মধ্যে । দেশকে পরাধীনতা থেকে মুক্ত করার জন্যে এগিয়ে এলেন ক্ষুদিরাম ও আরও অনেকে । তারা ছিলেন অগ্নিযুগের শহীদ । ক্ষুদিরাম ছিলেন প্রথম শহীদ , যার নিভীকতা ও সাহস সবাইকে বিস্মিত করতাে ।
অগ্নিকিশাের ক্ষুদিরাম বসু এর একটি সংক্ষিপ্ত জীবনী । ক্ষুদিরাম বসু এর জীবনী – Khudiram Bose Biography in Bengali বা ক্ষুদিরাম বসু এর আত্মজীবনী বা (Khudiram Bose Jivani Bangla. A short biography of Khudiram Bose. Khudiram Bose Birth, Place, Life Story, Life History, Biography in Bengali) ক্ষুদিরাম বসু এর জীবন রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ক্ষুদিরাম বসু কে ছিলেন ?( Who is Khudiram Bose) ?
ক্ষুদিরাম বসু ছিলেন একজন ভারতীয়-বাঙালি বিপ্লবী যিনি ভারতে ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি প্রফুল্ল চাকির সঙ্গে মিলে গাড়িতে ব্রিটিশ বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড আছে ভেবে তাকে গুপ্তহত্যা করার জন্যে বোমা ছুঁড়েছিলেন। ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড অন্য একটা গাড়িতে বসেছিলেন, যে ঘটনার ফলে দুজন ব্রিটিশ মহিলার মৃত্যু হয়, যারা ছিলেন মিসেস কেনেডি ও তার কন্যা। প্রফুল্ল চাকি গ্রেপ্তারের আগেই আত্মহত্যা করেন। ক্ষুদিরাম গ্রেপ্তার হন এবং দুজন মহিলাকে হত্যা করার জন্যে তার বিচার হয় এবং চূড়ান্তভাবে তার ফাঁসির আদেশ হয়।
অগ্নিকিশাের ক্ষুদিরাম বসুর জীবনী – (Khudiram Bose Biography in Bengali)
নাম | ক্ষুদিরাম বসু (Khudiram Bose) |
জন্ম | ৩ ডিসেম্বর ১৮৮৯ (3rd December 1889) |
জন্মস্থান | মেদিনীপুর |
অভিভাবক | ত্রৈলোক্যনাথ বসু ও লক্ষ্মীপ্রিয় দেবী |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পরিচিতির কারণ | ভারতীয় বিপ্লবী |
আন্দোলন | ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন |
পেশা | স্বাধীনতা সংগ্রামী |
মৃত্যু | ১১ আগস্ট ১৯০৮ (11th August 1908) |
মৃত্যুর কারণ | মৃত্যুদণ্ড (ফাঁসি) |
ক্ষুদিরাম বসুর জন্ম –( Khudiram Bose Birthday )
ক্ষুদিরামের জন্ম হয় ১৮৮৯ সালের ৩ রা ডিসেম্বর মেদিনীপুর জেলার মোহবনী গ্রামে ।এদের বাবা ত্রৈলোক্যনাথ বসু ছিলেন একজন কৃষক এবং মা লক্ষ্মীপ্রিয় দেবী ছিলেন একজন ঘরেবধূ। তার সাথে তার বৃদ্ধ পিতামহ পার্বতীচরণ বোস অথবা পার্বতীচরণের সন্তান গোপালচরণ বোস আছিলেন। তার সাথে থাকা কারণে ক্ষুদিরাম ছোটদের মাঝে প্রিয় ছিলেন। তার ছোটদের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় ছিল তার দিদি অপরূপা দেবী।
ক্ষুদিরাম বসুর শৈশবকাল –( Khudiram Bose Childhood)
ক্ষুদিরাম তার নাম দেওয়া হয় কারণ তাকে ছোটদের মধ্যে প্রিয় করা হত। তার ছোটবেলায় মা-বাবা হারিয়ে গেলেন এবং তার দিদি তাকে মানুষ করতে থাকলেও তার জামাইবাবু তখন তমলুকের দেওয়ানী আদালতের সেরেস্তাদার ছিলেন। অপরূপা দেবীর স্বামী অমৃতলালবাবুর চাকরী বদলে বদলে হত, যা ক্ষুদিরামকে একটি স্থির জায়গায় থাকতে অনুমতি দেওয়া না। এর ফলে ক্ষুদিরাম এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ঘুরে বেড়াতে পারত।
ক্ষুদিরাম বসুর শিক্ষাজীবন –( Khudiram Bose Education Life)
ক্ষুদিরামের জন্ম হয় ১৮৮৯ সালের ৩ রা ডিসেম্বর মেদিনীপুর জেলার মোহবনী গ্রামে। অমৃতলাল মেদিনীপুরে বদলি হওয়ায় তাকে ভর্তি করা হয়েছিল মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে। এই স্কুলের একজন শিক্ষক ছিলেন বিপ্লবী সত্যেন্দ্রনাথ বসু। তার চেষ্টায় বঙ্গ ভঙ্গ আন্দোলন খুব জোরালা হয়ে উঠছিল। তিনি চাইছিলেন অল্পবয়সী ছেলেদের নিয়ে একটি দল গড়ে তুলতে। তার এই দলে যোগ দিলেন ক্ষুদিরাম। তারপর থেকেই তার জীবনে ব্যক্তিত্বে পরিবর্তন দেখা দিল। লাঠিখেলা শিখলেন, ব্যায়ামের দ্বারা শরীরকে আরো মজবুত করে তুললেন তিনি। তার সংকল্প ছিল গ্রামের সকল মানুষকে সত্যিকারের মানুষ করে তোলা ।
ক্ষুদিরাম বসুর কর্মজীবন – (Khudiram Bose Work Life)
ক্ষুদিরাম বসু অসাধারণ সহনশীলতা এবং মানবিক গুণের সাথে পরিপূর্ণ ছিলেন। তার মধ্যে ছিল মানুষের প্রতি অসাধারণ ভালবাসা। কোন অসুখ শুনলে তার হৃদয় কেঁদে উঠতো। জনগণের সেবা করা ছিল তার ব্রত। অন্য কেউ যদি উপবাসী হতে দেখা যেত, তাকে অতিক্রম করে অন্নের ব্যবস্থা করতো। প্রাকৃতিক দুর্যোগেও মানুষের সাহায্যের জন্য তিনি অর্থ সংগ্রহ করতেন এবং ঘর থেকে ঘরে যাওয়ার জন্য বাড়ি বাড়ি ঘুরে আসতেন।